পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলা একটি দুর্গম উপজেলা এই উপজেলার চারপাশে বড় বড় নদী থাকার কারণে এখানে বিদ্যুৎ আসাটা খানিকটা স্বপ্নের মতো ছিল। সেই শ্বপ্ন এখন পূরন হবার অপেক্ষায় এখানকার প্রায় দুই লাখ সৌরবিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল মানুষ।
রাঙ্গাবালী উপজেলা বাসীর স্বপ্নপূরণে গত বছরের ১১ জুন উপজেলা পরিষদে পল্লী বিদ্যুৎ এর উদ্যোগে রাঙ্গাবালী উপজেলায় কিভাবে বিদ্যুৎ আনা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী-৪ আসনের এমপি অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মুহিবুর রহমান মহিব ও পল্লী বিদ্যুতের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রতিটা গ্রাম কে বিদ্যুতের আওতায় আনতে ইতিমধ্যে বিদ্যুতের সংযোগ ও খুঁটি স্থাপনে কথা থাকলেও করোনার কারনে কাজ পিছিয়ে পরে। সামনের মাস থেকে খুঁটি স্থাপনের কাজ শুরু করব। সাংবাদিকদের এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সেলিম মিয়া।
জানা গেছে,গত শনিবার ১২০০ বিদ্যুৎ সংযোগ খুঁটি নিয়ে একটি জাহাজ কোড়ালিয়া ঘাটে এসে পৌঁছয়। স্থানীয় মানুষের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দের জোয়ার।দীর্ঘদিনের কষ্ট কে পিছনে ফেলে এবার তারা দেখবে আলোর মুখ সেই আনন্দে মুখরিত রাঙ্গাবালীর মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, আমরা রাঙ্গাবালী উপজেলার মানুষ সৌরবিদ্যুৎ এর উপর নির্ভরশীল সূর্য উঠলে আমাদের ঘরে আলো জ্বলে। বেশি দিন ধরে আকাশে মেঘ থাকলে আমাদের থাকতে হয় অন্ধকারে।বিদ্যুতের সংযোগ তিয়াসা দেখে আমরা একটু হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস পাচ্ছি।
রাঙ্গাবালী সাবস্টেশন থেকে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন অর্থাৎ রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া ও মৌডুবীতে সংযোগ দেয়া হবে। এ ছাড়াও বাকি দুটি ইউনিয়নের মধ্যে চরমোন্তাজ ইউনিয়নে চরকাজল-চরবিশ্বাস থেকে সংযোগ দেয়া হবে, আর চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে গলাচিপা উপজেলা থেকে সংযোগ দেয়া হবে।এ ব্যাপারে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মনোহর কুমার বিশ্বাস জানান।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের একটি টিম গত বছর সাবস্টেশনের যায়গা পরিদর্শন করেছে। রাঙ্গাবালীতে বিদ্যুতের সংযোগ করতে চলতি মাস থেকে শুরু করবে।২০২০ সালের মধ্যে রাঙ্গাবালী উপজেলার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার চেষ্টা করব।